9.4.09

Dr. Inamul Haque

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন : ড. ইনামুল হক

Enamul Haqআপনি তো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। যতদূর জানি, আপনি এ বছর অবসর নিচ্ছেন। কবে আপনি বুয়েটে শিক্ষক পদে যোগদান করেন?
ড. ইনামুল হক : আমি '৬৪ সালের শেষ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করে '৬৫ সালের ৭ মার্চ বুয়েটে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করি। আর এবছরের ৭ মার্চ অধ্যাপক হিসেবে অবসর নিয়েছি।

দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন?
ড. ইনামুল হক : নাটক করে কাটাচ্ছি। আর আমার দল নাগরিক নাট্যাঙ্গনকে আরো বেশি সময় দিচ্ছি।

অন্য নাটকের দলগুলোর সঙ্গে আপনাদের দলের কোনো পার্থক্য আছে?
ড. ইনামুল হক : আমাদের নাটকের দলে একটা কোর্স চালু করেছি। আমরা এর নাম দিয়েছি-এনএনআইডি (নাগরিক নাট্যাঙ্গন ইনিস্টিটিউট অব ড্রামা)। এই কোর্সের সাতটি ব্যাচ পাশ করে বেরিয়ে গেছে। এখন অষ্টম ব্যাচ পড়ছে। এখানে আমরা নাটকের বিভিন্ন দিক, নাটক নিয়ে নতুনদের নানা কলাকৌশল, অভিনয় শেখাই।

এই দলের যাত্রা কবে থেকে?
ড. ইনামুল হক : '৯৫ সালের এপ্রিলে নাগরিক নাট্যাঙ্গনের যাত্রা শুরু হয়।

আপনাদের দলের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? শুধুই কি নাটক করা দলের কাজ?
ড. ইনামুল হক : আমরা এখন টাকা জমাচ্ছি। দলের সদস্যরা ঠিক করেছি, আমরা এই টাকা দিয়ে কয়েকবছর পর জমি কিনব, কোনো সুবিধাজনক জায়গায়। তারপর সেখানে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব আমাদের কার্যক্রমগুলোর।

এই বিষয়ে আপনাদের লক্ষ্য কী?
ড. ইনামুল হক : গত বছর থেকে আমরা প্রতিমাসে ১১ শত টাকা করে জমাচ্ছি। এই টাকা দিচ্ছেন আমাদের দলের ২৫ জন সদস্য। এই টাকা দিয়ে আগেই বলেছি আমরা জমি কিনব। এখানে থিয়েটারভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত পরিচালিত হবে। আমরা স্টুডিও থিয়েটার গড়ে তুলবো। আমরা ইনকাম জেনারেটিং কাজকর্মও করতে চাই।

এবার আরেকটা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করি। আপনার দেশের বাড়ি কোথায়?
ড. ইনামুল হক : আমার জন্ম ফেনী জেলায়। আর আমি ঢাকায় আসি '৫৮ সালে। তখন আমি কেবল মেট্রিক পাশ করেছি।

ঢাকায় এসে কী করলেন? মানে কোথায় ভর্তি হলেন?
ড. ইনামুল হক : নটর ডেম কলেজে।

আমাদের দেশের অনেক বিখ্যাত মানুষ নটর ডেম কলেজে পড়েছেন। জানতে চাই, আপনার সহপাঠী কারা ছিলেন?
ড. ইনামুল হক : হায়দার আকবর খান রনো, রাশেদ খান মেনন-এরা আমার সঙ্গে কলেজে পড়ত।

তখন তো তারা আর রাজনীতি করতেন না...।
ড. ইনামুল হক : না। তবে আমরা সবাই প্রোগ্রেসিভ চিন্তা করতাম।

তারপর আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন। তাই না?
ড. ইনামুল হক : আমি এরপর ফজলুল হক হলে উঠলাম। আর ভর্তি হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। এখানে আমি ছিলাম কালচারাল সেক্রেটারি। আর আবদুর রাজ্জাক ছিল প্রেসিডেন্ট। তখন পলিটিক্যাল সায়েন্সে পড়তো আবদুল জলিল। সেও আমাদের সঙ্গে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল।

এখান থেকেই কি আপনার নাটকের প্রতি আগ্রহ?
ড. ইনামুল হক : হ্যাঁ, হলে ডাকসুর নাটক করে বেড়াতাম। ফলে এখান থেকেই যে নাটকের জগতে জড়িয়ে পড়ি সেটা বলা যায়।

তখন তো মানে ষাটের দশকে আপনারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, তখন নানা ঘটনা ঘটেছিল আমরা জানি...।
ড. ইনামুল হক : মোনায়েম খাঁ তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। যুদ্ধের পর (ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ, যেখানে ইষ্ট বেঙ্গল দারুণ কৃতিত্ব দেখিয়েছিল) তিনি এখানে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করে দেন। এর প্রতিবাদে আমরা নাটক করি 'রক্তকরবী', 'তাসের দেশ'। এই রক্তকরবীতে অভিনয় সহ নানা কাজকর্মে যুক্ত ছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার, শহীদুল্লাহ কায়সার, গোলাম মোস্তফা, আলতাফ মাহমুদ, মতিউর রহমান, আবুল হায়াত, মফিদুল হক-এরা সবাই। আসলে এই প্রতিবাদ সংগ্রামই আমাদের একত্র করেছিল। আর আমরা একসাথে এই জাতির জন্য একটা সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে নেমে গিয়েছিলাম।

আপনার এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ কিভাবে?
ড. ইনামুল হক : আমি তখন নতুন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি বুয়েটে। প্রভাষক হিসেবে বাসাও পেয়েছি ১৪/১ এন-এর টিচার্স কোয়ার্টারে। ফলে সেখানেই নানা কাজকর্ম চলতো সাংস্কৃতিক কর্মীদের। খান আতা, মাসুদ আলী খান, হাসান ইমাম-এরা সবাই এখানে আসতেন। আর আমরা নানাভাবে চিন্তা করতাম কীভাবে দেশের জন্য কাজ করা যায়। আর এভাবেই আমরা কৃষ্ণকান্তের উইল, ম্যাক্সিম গোর্কির মা-এসব ভালো ভালো নাটক মঞ্চস্থ করেছি। আমাদের সঙ্গে তখন কাজ করতেন শুভ রহমান, মোজাম্মেল হোসেন, আবুল হাসনাত-এরা।

আচ্ছা, টেলিভিশনে আপনার প্রথম নাটক কোনটি? আমরা জানি আপনি অনেক নাটক লিখেছেন টিভির জন্য।
ড. ইনামুল হক : আমি প্রায় ৬০ কী ৭০টা নাটক লিখেছি। আমার টিভিতে প্রথম নাটক 'অনেক দিনের একদিন'। এই নাটকের প্রযোজক আবদুল্লাহ আল মামুন। এই নাটকের পর আমি আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাটক লিখি 'আবার আসিব ফিরে'। এই নাটকের মাধ্যমে আন্ডারগ্রাউন্ডে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠছে- এমন একটি মেসেজ দেয়া হয়। নাটকটি '৭১ নালের ২৩ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয়। আমার আরেকটি নাটক 'এক মালা শত মালঞ্চ' একুশে ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে এদেশের প্রথম নাটক হিসেবে বিটিভিতে প্রচারিত হয়। এই নাটকের প্রযোজকও আবদুল্লাহ আল মামুন। আমার আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাটক 'গৃহবাস'। আর 'কে বা আপন কে বা পর' প্রচারিত হয় ৯১ কী ৯২ সালে। এই নাটকের মাধ্যমেই শমী কায়সারের টেলিভিশনে যাত্রা শুরু হয়। আরেকটি নাটকের কথা আমি বলতে চাই, 'সন্ধিক্ষণে আমরা'। এই নাটকটি তৎকালীন জোট সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

টেলিভিশন বাদে আপনার আরো কাজের খবর জানতে চাই।
ড. ইনামুল হক : আমি বিজ্ঞানের ওপর ৬ মাসের একটি অনুষ্ঠান করেছি বিটিভিতে। রেডিওতে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান করেছি-আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে, বয়স্ক শিক্ষা আর পরিবার পরিকল্পনার ওপরে।

রেডিও, টিভির মধ্যে কোন পার্থক্যটা আপনার কাছে বড়ো মনে হয়?
ড. ইনামুল হক : টিভিতে দর্শকের কথা মনে রেখে, অভিনয়টা দেখাতে হয়। এখানে ক্যামেরার মনিটরটাই আসল। সেখানে তোমাকে কেমন লাগছে, পরিচালক কী বলছেন সেটা মাথায় রাখতে হয়। আর রেডিওতে শুধু শব্দের খেলা। প্লেন উড়ে যাচ্ছে, ঝড় আসছে-এই সমস্ত বিষয় শুধু কন্ঠের খেলা আর ডায়লগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করতে হয়। ফলে রেডিওতে কাজ করার মজাটাই অন্য রকমের। আর আমি যেহেতু মঞ্চেও কাজ করেছি, ফলে এটার কথাও বলতে পারি। মঞ্চে দর্শকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ঘটে। এখানে ইন্টারেকশনটা সরাসরি। কোয়ালিটি এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এখানে প্রচুর শারিরীক সক্ষমতার বিষয় জড়িত। আর আমি নিঃসন্দেহ যে, মঞ্চ কখনো বিলুপ্ত হবে না।

আপনার মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডটা বলুন।
ড. ইনামুল হক : আমরা মঞ্চ নাটক করছি সেই '৬৪ সাল থেকে। নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের জন্ম '৬৮ সালে। আমি, আবুল হায়াত, আতাউর রহমান, জিয়া হায়দার, গোলাম রাব্বানী-এরা ছিলাম এই দলের প্রথম দিকের সদস্য। আমাদের প্রথম নাটক 'ইডিপাস'। আর 'বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ' নাটকে এদেশের প্রথম মহিলা শিল্পী হিসেবে অভিনয় করে। এখানে অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন আলী যাকের।

লাকী ইনামের সঙ্গে কি আপনার নাটকের মাধ্যমে যোগাযোগ?
ড. ইনামুল হক : না, পারিবারিকভাবেই আমাদের বিয়ে হয়েছিল। আমাদের বিয়ে হয়েছিল কুমিল্লাতে। তখন লাকী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়তো। লাকী কিন্তু মেট্রিকে স্ট্যান্ড করেছিল। ও ছিল কুমিল্লা বিভাগে থার্ড। আর পরে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পাশ করে। সে ডজনখানেক নাটকের রচয়িতা। আমার আর লাকীর সংসারে দুই মেয়ে। হৃদি হক (স্বামী লিটু আনাম) আর প্রৈতি হক (স্বামী সাজু খাদেম)। প্রৈতির নামটি দিয়েছিলেন ওয়াহিদুল হক।

ওয়াহিদুল হক সম্পর্কে একটু বলুন।
ড. ইনামুল হক : ওয়াহিদ ভাই ছিলেন এক অসাধারণ মানুষ। তার নাচ সম্পর্কে অবিশ্বাস্য জ্ঞান ছিল, রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তো তিনি যে কোনো বাংলাদেশীর চেয়ে বেশি জানেন। তার লেখার ভাষা, চিন্তা-চেতনা যে কোনো আধুনিক মানুষের চেয়েও বেশি ছিল।

আচ্ছা বলুন তো আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ অত্যন্ত কম। এটা কেন? তারা যদি বেশি বেশি এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তো শিক্ষার পরিবেশ আরো বেশি ভালো হবে, তাই না?
ড. ইনামুল হক : এটা খুবই দুঃখজনক যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দিনে দিনে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছেন। তারা নিজেরা কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন না। ফলে ছাত্রদেরও উৎসাহিত করতে পারেন না। এর ফলে একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে, তেমনি শিক্ষার পরিবেশও সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের সামনে কোনো আইডল তারা পাচ্ছে না। আর শিক্ষার পরিবেশও হারিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। যেমন ধরো-যদি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বা ড. আনিসুজ্জামানের মতো মানুষরা মঞ্চ নাটক দেখতে যান, তাহলে আমরা নাটকের অভিনয় করতে আরো ভালোবাসবো। আর ছাত্রছাত্রীরাও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ হবে স্যারদের দেখে দেখে। আমরা অভিনয়ে এসেছিলাম তো মনির চৌধুরীদের দেখে দেখে। খোঁজ নিয়ে দেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শতাংশ শিক্ষকও কোনো কালচারাল একটিভিটির সঙ্গে জড়িত না। তারা ভাবে এসব করলে নিজের ক্ষতি।

কালচারাল সেক্টরেরও অবস্থা তো আগের মতো নেই...।
ড. ইনামুল হক : হ্যাঁ সব জায়গাতেই চলছে আত্মীয়করণ। এ ওর আত্মীয়-বন্ধু, সে তার কাছের মানুষ এদের ঢুকাচ্ছে। একদমই উল্টো স্রোতে চলছে আমাদের এই সেক্টর।

মঞ্চ নাটকের এই দৈন্যদশা কেন?
ড. ইনামুল হক : আসলে সরকার উদ্যোগী না। সরকার উদ্যোগ না নিলে এসব কাজ চালানো মুশকিল। তাছাড়া আগে যে এনভারনমেন্টে নাটক করতাম এখন তো সেটা একদমই পাই না। মফস্বলে আগে অনেক ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। এখন তো জায়গাই পাওয়া যাচ্ছে না। আর সরকার বলে,- থাক বাবা থাক, কী হবে নাটক-ফাটক করে। আর মৌলবাদীরা বলে এটাকে বন্ধ কর। এর ফলে তো সবখানেই মৌলবাদ বেড়ে যাচ্ছে। সংস্কৃতি চর্চার অভাবই মৌলবাদ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আচ্ছা আপনি তো প্রচুর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। স্ক্রিপ্ট সংকট কেন বলুন তো?
ড. ইনামুল হক : এখন সবকিছুতেই মোবাইল বিনোদন ঢুকে গেছে। একারণেই এ সংকট দেখা দিয়েছে। কেউ ভাবছে না। ফলে ভালো স্ক্রিপ্ট তো বেরুবে না। গল্পে কোনো যৌক্তিকতা নেই, কোনো ঘটনার কোনো কার্যকারণ নেই। কিছু ফানি ফানি জিনিশ দিতে পারলেই কি নাটক হয়ে যায়? অদ্ভুত!

ভালো স্ক্রিপ্ট লেখার কৌশল কী?
ড. ইনামুল হক : যে কথা সচরাচর বলছি সেটার মাধ্যমে নাটকের অর্ন্তনিহিত মেসেজ নাটকে তুলে ধরতে হবে। জীবনবোধ থাকতে হবে। সংলাপে ভালো করতে হবে। পারিপার্শ্বিকতার কথা মনে রখতে হবে। গল্পের ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের চারপাশে তো বিষয়ের কোনো অভাব নেই। স্ক্রিপ্টের দূর্বলতার কারণে পারফরমেন্স খারাপ হয়।

শিখে অভিনয়ে আসাটা কতোটা জরুরী?
ড. ইনামুল হক : প্রশিক্ষিত হয়ে এলে অভিনয় ভালো হয়। অভিনয়ে পারমঙ্গতা তৈরি হয়, টেকনিক ডেভেলপ করে।

অভিনয় থেকে অবসর নেবেন কবে? শিক্ষকতা থেকে তো অবসর নিয়েছেন।
ড. ইনামুল হক : যতোদিন শরীর কুলায় (একথা বলে হাসতে থাকেন তিনি)।


সুত্র - গ্লিটস/২২ নভেম্বর ২০০৮

No comments:

Post a Comment