প্রায় পাঁচ বছর পর তারকা-দম্পতি ফয়সাল-জয়া একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন। বিজ্ঞাপনে এই তারকা দম্পতির নজরকাড়া উপস্থিতি দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফয়সাল-জয়ার প্রাণবন্ত কথামালা নিয়ে লিখেছেন অনুরূপ আইচ ও নিপু বড়-য়া শুনেছিনু প্রেমের পাথার নাইকো তাহার কোন দিশা_ শুনেছিনু প্রেমের মধ্যে অসীম ক্ষুধা, অসীম তৃষ্ণা, বীণার তন্ত্রী কঠিন টানে ছিঁড়ে পড়ে প্রেমের তানে, শুনেছিনু প্রেমের কুঞ্জে অনেক বাঁকা গলিঘুঁজি। আমাদের এই দোঁহার মিলন নিতান্তই এ সোজাসুজি।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোজাসুজি' কবিতার এই পঙ্ক্তিগুলোর মতোই ফয়সাল-জয়ার সম্পর্কটাও পুরোদমে সোজাসুজি। তবুও তাদের নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের অন্ত নেই। প্রথমে আলাদা করে বলি। ১৯৯৪ সালে রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন ফয়সাল। সে সময় বন্ধু পল্লব (মডেল-অভিনেতা) প্রায়ই তাকে মডেলিং করার অনুরোধ করত। একদিন পল্লবের সঙ্গে দেখে আফজাল হোসেন মডেলিং করার জন্য অফার করলেন ফয়সালকে। ব্যাস, শুরু হল পথচলা। তারপর এলিট পেইন্ট, কোকাকোলার বিজ্ঞাপন করেই রাতারাতি তারকা বনে যান ফয়সাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জয়াও মডেল হিসেবে আত্দপ্রকাশ করেছিলেন কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তারপর '৯৫ সালে 'পঞ্চমী' নাটকের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবেও আত্দপ্রকাশ। সেই থেকে আজ অবধি চলছে পথচলা। সম্প্রতি দেশের সবকটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে তারকাদম্পতি ফয়সাল ও জয়ার নতুন বিজ্ঞাপন। দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে কাজ করলেন, অনুভূতিটা কেমন- জানতে চাওয়া হলে ফয়সাল বলেন, 'আমি এমনিতেই কম কাজ করি। আর জয়ার সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। কাজটি ভালো হয়েছে।' ফয়সালের কথায় সুর মিলিয়ে জয়া বলেন, 'ফয়সাল একজন ভালো মডেল-অভিনেতা। ওর সঙ্গে কাজ করে আমারও ভালো লেগেছে এবং অনেকেই বলেছেন কাজটি ভালো হয়েছে।' জয়ার মুখে নিজের প্রশংসা শুনে ফয়সাল কিছুটা লজ্জাই পেলেন মনে হয়। বললেন, 'ও কিন্তু একটু বাড়িয়ে বলছে।' জয়া অবশ্য তার কথায় অনড়- 'মোটেই না, যা সত্যি তাই বলছি।' 'তবে জয়া খুবই স্পষ্টবাদী এই কারণে তাকে আমার বেশি ভালো লাগে' বললেন ফয়সাল। এ প্রসঙ্গে তারা ঝিলমিলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হল_ আপনাদের মাঝে প্রথম ভালোলাগা সৃষ্টি হয় কীভাবে? ফয়সাল বললেন, "ঘটনাটা আমিই বলি। একদিন এক বন্ধুর বাসায় পত্রিকা পড়তে গিয়ে একটি ফ্যাশন শো'র ছবি চোখে পড়ে। আর এই ছবিতে মডেল ছিল জয়া। তখনও আমি তাকে চিনতাম না। কিন্তু ওর ছবি দেখেই ভালো লেগে যায়। এরপর একদিন হঠাৎ করেই আফজাল ভাইয়ের অ্যাড ফার্ম 'মাত্রা'য় আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। পরিচয় সেখানেই। তারপর মাঝে মাঝে আমাদের কথা হতো। সে এত সুন্দর গুছিয়ে কথা বলত, আমি মুগ্ধ হতাম। এভাবেই ভালোলাগা থেকে ভালবাসার শুরু। পরিচয়ের দু'মাস পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম। বিয়ের তারিখটা হচ্ছে ১৪ মে।" ফয়সালের মুখে স্মৃতিচারণ শুনে জয়া হেসে বললেন, "ফয়সালের সরলতা, ব্যক্তিত্ব, বিনয়, সর্বোপরি আমার প্রতি মূল্যায়ন আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। সে থেকে আমাদের সুখের সংসার আজোবধি চলছে।" প্রায় এক যুগ পার হতে চলছে ফয়সাল-জয়া'র দাম্পত্য জীবন। বিবাহিত জীবনে এই তারকা-দম্পতি খুবই সুখী। ভালবাসা আর খুনসুটি করেই কেটে যায় তাদের দিন-রাত্রি। বিয়ের পরের জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে ফয়সাল বলেন, 'অন্যসব সাধারণ মানুষের মতোই আমরা আমাদের সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ ভালোই চলছে।' হাস্যোজ্জ্বল মুখে জয়া জানান দিলেন, 'হঁ্যা ভালোই যাচ্ছে।' মাঝে একটি টেলিকমের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে জয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন খবরে দেশজুড়ে জয়ার ভক্তরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেই সময়ের কথা জানাতে গিয়ে জয়া বলেন, "বিজ্ঞাপনের কনসেপ্টটা ছিল নতুন। তাছাড়া পত্রিকায় বিষয়টি উল্লেখ ছিল। পরিচিত মহল থেকে প্রচুর ফোন এসেছে। ভক্তরা আমাকে কত যে ভালবাসেন তার প্রমাণ মিলেছে ওই ঘটনায়। এই জন্য আমি দুঃখিত। ফয়সাল বলেন, সেই সময় আমার কাছে সবাই জানতে চায় কোথায় হারিয়েছে জয়া! কোথায় গেল! সবাইকে বিষয়টি খুলে বলতে বলতে আমি টায়ার্ড। ওর জনপ্রিয়তা কতটুকু সেদিনই বুঝতে পেরেছি। একে অপরের কাজের প্রতি মূল্যায়ন করতে গিয়ে ফয়সাল যেন ভাবনার অথৈ জলে পড়ে গেলেন। পরক্ষণে তিনি বলেন, জয়া কাজের প্রতি খুব সচেতন। ওর কাজ দেখে আমি আরও অনেক আশাবাদী। জয়া স্মিত হেসে বলেন, ওর কাজ দর্শকরাই মূল্যায়ন করবে। তবে আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে ওর কাজের প্রতি সন্তুষ্ট।' দুজনই কাজের প্রতি বেশ সচেতন। বেছে বেছে কাজ করেন। তারা মনে করেন অল্প কাজ করেও বেশিদিন ইমেজ ধরে রাখা যায়। সংসার আর অভিনয় কিভাবে সামলান? প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, 'আমার দুটো সামলাতে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। অভিনয় চলে তার নিজস্ব গতিতে। আর সংসার সামলাতে ফয়সাল আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করে। ব্যস্ততার কারণে আমি যে কাজগুলো মিস করি, ও সেটা ম্যানেজ করে। দুটোকেই আমি সমানভাবে মিস করি। 'আসলে সংসার ঠিক তো সব ঠিক। দুজন সংসারের সবকিছু শেয়ার করি। আমি ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকি। পছন্দ হলে কাজ করি। কাজের ফাঁকে সংসারে জয়াকে সময় দেই।' জানালেন ফয়সাল। ক্যারিয়ারের লম্বা সময় অতিবাহিত করে আজও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন দু'জনে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা প্রায় সমস্বরে বলেন, "ভালো কিছু কাজ করতে চাই আরও। আর সেলিব্রেটি ইমেজ কাজে লাগিয়ে মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে চাই।' আপনারা দু'জন একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে কোনও মজার ঘটনা ঘটেছে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে জয়া বলেন, 'ও যখন শট দিচ্ছিল আমার তাকানো নিষেধ ছিল। আমার ক্ষেত্রেও তাই। দুজনের চোখাচোখি হলেই ভীষণ হাসি পেত আর অভিনয় কোথায় পালায়। একদিন একটা শট ও খুব ভালো করছিল। আমি আনমনা হয়ে অনেক্ষণ দেখছিলাম। হঠাৎ আমার দিকে তাকাতেই দেখি ও আমাকে অন্যদিকে তাকানোর জন্য চোখ রাঙাচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ ঘুরিয়ে নিই। এটি ছিল আমাদের মজার অভিজ্ঞতা।' ফয়সাল বলেন, এসব কথা মনে উঠলে এখন মাঝে মাঝে হাসি পায়।' সম্প্রতি জয়া মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের কাগজ ও কার্বনের সম্মোহন, সুমন আনোয়ারের 'পাঞ্জাবিওয়ালা', 'কেউ নয় শূন্যতা', তানভীর হোসেন প্রবালের 'টাইপরাইটার'সহ বেশ কটি একক নাটকের কাজ করছেন। পাশাপাশি মেজবাউর রহমান সুমনের 'মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া' নামে একটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু করবেন। খুব শিগগিরই তার নতুন একটি বিজ্ঞাপন প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া তিনি 'ডুবসাঁতার' ও 'বেহুলা লক্ষ্মীন্দর' নামে ডিজিটাল ফিল্মেরও কাজও শেষ করেছেন। এর আগেও ফয়সাল বেশ কটি বিজ্ঞাপনে কাজ করে নন্দিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বনানীতে 'ক্রসরোড' নামে একটি ফ্যাশন হাউজ খুলেছেন। আপাতত ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পর্দার বাইরেও এখন এই জুটি একজন অন্যজনের দু'জনের ছোট্ট সংসারে শুধুই ভালবাসা আর ভালবাসা। তাই বাকি জীবনেও তাদের একমাত্র প্রত্যাশা- ভালোবাসার কখনও যেন অবমূল্যায়ন না হয়।
4.6.09
Joya & Foysal together after 5 years..
প্রায় পাঁচ বছর পর তারকা-দম্পতি ফয়সাল-জয়া একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন। বিজ্ঞাপনে এই তারকা দম্পতির নজরকাড়া উপস্থিতি দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফয়সাল-জয়ার প্রাণবন্ত কথামালা নিয়ে লিখেছেন অনুরূপ আইচ ও নিপু বড়-য়া শুনেছিনু প্রেমের পাথার নাইকো তাহার কোন দিশা_ শুনেছিনু প্রেমের মধ্যে অসীম ক্ষুধা, অসীম তৃষ্ণা, বীণার তন্ত্রী কঠিন টানে ছিঁড়ে পড়ে প্রেমের তানে, শুনেছিনু প্রেমের কুঞ্জে অনেক বাঁকা গলিঘুঁজি। আমাদের এই দোঁহার মিলন নিতান্তই এ সোজাসুজি।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোজাসুজি' কবিতার এই পঙ্ক্তিগুলোর মতোই ফয়সাল-জয়ার সম্পর্কটাও পুরোদমে সোজাসুজি। তবুও তাদের নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের অন্ত নেই। প্রথমে আলাদা করে বলি। ১৯৯৪ সালে রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন ফয়সাল। সে সময় বন্ধু পল্লব (মডেল-অভিনেতা) প্রায়ই তাকে মডেলিং করার অনুরোধ করত। একদিন পল্লবের সঙ্গে দেখে আফজাল হোসেন মডেলিং করার জন্য অফার করলেন ফয়সালকে। ব্যাস, শুরু হল পথচলা। তারপর এলিট পেইন্ট, কোকাকোলার বিজ্ঞাপন করেই রাতারাতি তারকা বনে যান ফয়সাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জয়াও মডেল হিসেবে আত্দপ্রকাশ করেছিলেন কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তারপর '৯৫ সালে 'পঞ্চমী' নাটকের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবেও আত্দপ্রকাশ। সেই থেকে আজ অবধি চলছে পথচলা। সম্প্রতি দেশের সবকটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে তারকাদম্পতি ফয়সাল ও জয়ার নতুন বিজ্ঞাপন। দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে কাজ করলেন, অনুভূতিটা কেমন- জানতে চাওয়া হলে ফয়সাল বলেন, 'আমি এমনিতেই কম কাজ করি। আর জয়ার সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। কাজটি ভালো হয়েছে।' ফয়সালের কথায় সুর মিলিয়ে জয়া বলেন, 'ফয়সাল একজন ভালো মডেল-অভিনেতা। ওর সঙ্গে কাজ করে আমারও ভালো লেগেছে এবং অনেকেই বলেছেন কাজটি ভালো হয়েছে।' জয়ার মুখে নিজের প্রশংসা শুনে ফয়সাল কিছুটা লজ্জাই পেলেন মনে হয়। বললেন, 'ও কিন্তু একটু বাড়িয়ে বলছে।' জয়া অবশ্য তার কথায় অনড়- 'মোটেই না, যা সত্যি তাই বলছি।' 'তবে জয়া খুবই স্পষ্টবাদী এই কারণে তাকে আমার বেশি ভালো লাগে' বললেন ফয়সাল। এ প্রসঙ্গে তারা ঝিলমিলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হল_ আপনাদের মাঝে প্রথম ভালোলাগা সৃষ্টি হয় কীভাবে? ফয়সাল বললেন, "ঘটনাটা আমিই বলি। একদিন এক বন্ধুর বাসায় পত্রিকা পড়তে গিয়ে একটি ফ্যাশন শো'র ছবি চোখে পড়ে। আর এই ছবিতে মডেল ছিল জয়া। তখনও আমি তাকে চিনতাম না। কিন্তু ওর ছবি দেখেই ভালো লেগে যায়। এরপর একদিন হঠাৎ করেই আফজাল ভাইয়ের অ্যাড ফার্ম 'মাত্রা'য় আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। পরিচয় সেখানেই। তারপর মাঝে মাঝে আমাদের কথা হতো। সে এত সুন্দর গুছিয়ে কথা বলত, আমি মুগ্ধ হতাম। এভাবেই ভালোলাগা থেকে ভালবাসার শুরু। পরিচয়ের দু'মাস পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম। বিয়ের তারিখটা হচ্ছে ১৪ মে।" ফয়সালের মুখে স্মৃতিচারণ শুনে জয়া হেসে বললেন, "ফয়সালের সরলতা, ব্যক্তিত্ব, বিনয়, সর্বোপরি আমার প্রতি মূল্যায়ন আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। সে থেকে আমাদের সুখের সংসার আজোবধি চলছে।" প্রায় এক যুগ পার হতে চলছে ফয়সাল-জয়া'র দাম্পত্য জীবন। বিবাহিত জীবনে এই তারকা-দম্পতি খুবই সুখী। ভালবাসা আর খুনসুটি করেই কেটে যায় তাদের দিন-রাত্রি। বিয়ের পরের জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে ফয়সাল বলেন, 'অন্যসব সাধারণ মানুষের মতোই আমরা আমাদের সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ ভালোই চলছে।' হাস্যোজ্জ্বল মুখে জয়া জানান দিলেন, 'হঁ্যা ভালোই যাচ্ছে।' মাঝে একটি টেলিকমের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে জয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন খবরে দেশজুড়ে জয়ার ভক্তরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেই সময়ের কথা জানাতে গিয়ে জয়া বলেন, "বিজ্ঞাপনের কনসেপ্টটা ছিল নতুন। তাছাড়া পত্রিকায় বিষয়টি উল্লেখ ছিল। পরিচিত মহল থেকে প্রচুর ফোন এসেছে। ভক্তরা আমাকে কত যে ভালবাসেন তার প্রমাণ মিলেছে ওই ঘটনায়। এই জন্য আমি দুঃখিত। ফয়সাল বলেন, সেই সময় আমার কাছে সবাই জানতে চায় কোথায় হারিয়েছে জয়া! কোথায় গেল! সবাইকে বিষয়টি খুলে বলতে বলতে আমি টায়ার্ড। ওর জনপ্রিয়তা কতটুকু সেদিনই বুঝতে পেরেছি। একে অপরের কাজের প্রতি মূল্যায়ন করতে গিয়ে ফয়সাল যেন ভাবনার অথৈ জলে পড়ে গেলেন। পরক্ষণে তিনি বলেন, জয়া কাজের প্রতি খুব সচেতন। ওর কাজ দেখে আমি আরও অনেক আশাবাদী। জয়া স্মিত হেসে বলেন, ওর কাজ দর্শকরাই মূল্যায়ন করবে। তবে আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে ওর কাজের প্রতি সন্তুষ্ট।' দুজনই কাজের প্রতি বেশ সচেতন। বেছে বেছে কাজ করেন। তারা মনে করেন অল্প কাজ করেও বেশিদিন ইমেজ ধরে রাখা যায়। সংসার আর অভিনয় কিভাবে সামলান? প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, 'আমার দুটো সামলাতে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। অভিনয় চলে তার নিজস্ব গতিতে। আর সংসার সামলাতে ফয়সাল আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করে। ব্যস্ততার কারণে আমি যে কাজগুলো মিস করি, ও সেটা ম্যানেজ করে। দুটোকেই আমি সমানভাবে মিস করি। 'আসলে সংসার ঠিক তো সব ঠিক। দুজন সংসারের সবকিছু শেয়ার করি। আমি ব্যবসা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকি। পছন্দ হলে কাজ করি। কাজের ফাঁকে সংসারে জয়াকে সময় দেই।' জানালেন ফয়সাল। ক্যারিয়ারের লম্বা সময় অতিবাহিত করে আজও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন দু'জনে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা প্রায় সমস্বরে বলেন, "ভালো কিছু কাজ করতে চাই আরও। আর সেলিব্রেটি ইমেজ কাজে লাগিয়ে মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে চাই।' আপনারা দু'জন একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে কোনও মজার ঘটনা ঘটেছে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে জয়া বলেন, 'ও যখন শট দিচ্ছিল আমার তাকানো নিষেধ ছিল। আমার ক্ষেত্রেও তাই। দুজনের চোখাচোখি হলেই ভীষণ হাসি পেত আর অভিনয় কোথায় পালায়। একদিন একটা শট ও খুব ভালো করছিল। আমি আনমনা হয়ে অনেক্ষণ দেখছিলাম। হঠাৎ আমার দিকে তাকাতেই দেখি ও আমাকে অন্যদিকে তাকানোর জন্য চোখ রাঙাচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ ঘুরিয়ে নিই। এটি ছিল আমাদের মজার অভিজ্ঞতা।' ফয়সাল বলেন, এসব কথা মনে উঠলে এখন মাঝে মাঝে হাসি পায়।' সম্প্রতি জয়া মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের কাগজ ও কার্বনের সম্মোহন, সুমন আনোয়ারের 'পাঞ্জাবিওয়ালা', 'কেউ নয় শূন্যতা', তানভীর হোসেন প্রবালের 'টাইপরাইটার'সহ বেশ কটি একক নাটকের কাজ করছেন। পাশাপাশি মেজবাউর রহমান সুমনের 'মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া' নামে একটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু করবেন। খুব শিগগিরই তার নতুন একটি বিজ্ঞাপন প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া তিনি 'ডুবসাঁতার' ও 'বেহুলা লক্ষ্মীন্দর' নামে ডিজিটাল ফিল্মেরও কাজও শেষ করেছেন। এর আগেও ফয়সাল বেশ কটি বিজ্ঞাপনে কাজ করে নন্দিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বনানীতে 'ক্রসরোড' নামে একটি ফ্যাশন হাউজ খুলেছেন। আপাতত ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পর্দার বাইরেও এখন এই জুটি একজন অন্যজনের দু'জনের ছোট্ট সংসারে শুধুই ভালবাসা আর ভালবাসা। তাই বাকি জীবনেও তাদের একমাত্র প্রত্যাশা- ভালোবাসার কখনও যেন অবমূল্যায়ন না হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment