ডিজিটাল ফরম্যাটে ছবি হবে স্বাধীন: মোরশেদুল ইসলাম
ডিজিটাল চলচ্চিত্র নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন এদেশের তরুণ নির্মাতারা। তাদের পাশে আছেন মূলধারা এবং বিকল্প ধারার বেশ কিছু নির্মাতাও। এই আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত খ্যাতিমান নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম এবার মুখোমুখি হয়েছেন গ্লিটজের। তার সঙ্গে কথা বলেছেন ওমর শাহেদ।
প্রথমেই জানতে চাই, চলচ্চিত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার কিভাবে ঘটেছে এবং কী ধরণের প্রভাব রেখেছে?
মোরশেদুল ইসলামঃ চলচ্চিত্র ইতিহাসের শুরু থেকে প্রযুক্তি সবসময় চলচ্চিত্রকে ডমিনেট করেছে। প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছবির ধরণও পাল্টে গেছে ইতিহাসের শুরু থেকে। একদম প্রথম দিকে সাইলেন্ট বা নির্বাক ছবি বানানো হতো। দীর্ঘদিন এই ধরণের ছবি রাজত্ব করেছে। তারপর এলো সাদাকালো ছবি। একসময় সাদাকালো ছবিও বদলে রঙিন হয়ে গেলো। এই যে পরিবর্তন এখানে কিন্তু ছবির সমালোচক এবং দর্শকদের মধ্যে ছবির ধরণে পরিবর্তনের ফলে কোনো ধরণের সমস্যা হয় কী না এবং চলচ্চিত্র তার নিজস্বতা হারায় কি না- এই দ্বিধাদ্বন্ধ ছিল। যেমন নির্বাক যুগের পরে শব্দ আসার ফলে ছবি কি স্বকীয়তা হারাবে- এই ভয় এবং এক ধরনের কৌতুহলও ছিল চলচ্চিত্রামোদীদের। তবে মজার ব্যাপার হলো, শব্দ ছবির কোনো ধরনের ক্ষতি তো করেই নি, বরং আরো সমৃদ্ধ করেছে এবং ছবিতে আলাদা দ্যোতনা নিয়ে এসেছে। এ কথাটা এজন্যই বলা যে, আসলে কোনো প্রযুক্তিই চলচ্চিত্র শিল্পকে ব্যহত করেনি বরং সমৃদ্ধ করেছে। এই প্রেক্ষিত বিবেচনা করলে ডিজিটাল ছবিও আমাদের এই সম্ভাবনার সামনে নিয়ে এসেছে যাতে সত্যিকার অর্থে চলচ্চিত্র শিল্পই সমৃদ্ধ হবে।
ডিজিটাল ছবির যাত্রা কিভাবে শুরু হয়?
মোরশেদুল ইসলামঃ '৮০'র দশক থেকে ডিজিটাল ছবির যাত্রা শুরু হয়। তখন প্রথমে অ্যানালগ সিস্টেমে ছবি বানানো হতো। তারপর তাকে ভিডিওতে ট্রান্সফার করা হতো। আর এখান থেকেই দেশে দেশে ডিজিটালি ছবি বানাতে শুরু করেন নির্মাতারা। এটার এখন বিশাল বাজারও গড়ে উঠেছে। ডিজিটাল ছবি নিয়ে নানা ফেস্টিভ্যালও হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
ডিজিটাল ফরমেটের সুবিধা কী?
মোরশেদুল ইসলামঃ ডিজিটাল ফরমেটে ছবি বানানোর সুবিধা অনেক। প্রথম এবং প্রধান সুবিধা হলো- এই মাধ্যমে খরচ অনেক কম। ফলে অনেকের পক্ষে নানা ধরণের ছবি বানানো সম্ভব। কারণ বাজেট অল্প। যদিও অনেকেরই একসময় ধারণা ছিল, বিশাল পুঁজি, বিশাল সেট, অনেক লাইট অ্যারেঞ্জমেন্ট না হলে সেটা সিনেমা হয় না।
কারা এই প্রযুক্তিকে গ্রহণ করেছেন?
মোরশেদুল ইসলামঃ যারা শৈল্পিক ছবি বানাতে চান, ভিন্ন ধরণের, নিজের ভেতরের তাড়না থেকে ছবি বানাতে চান তারা এই নতুন প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন। এমনকি হলিউডের মতো বড় জায়গার পাশে থেকেও অনেক মার্কিন চলচ্চিত্রকার এই ধরণের ছবি বানাচ্ছেন।
কেন আপনারা এই ছবির পক্ষে আন্দোলন করছেন?
মোরশেদুল ইসলামঃ জ্যাঁ কঁকতো'র একটা কথা আছে, "যতোদিন ক্যামেরার দাম কলমের দামের সমান না হবে এবং ফিল্মের দাম কাগজের দামের সমান না হবে ততদিন সবার জন্য ছবি হবে না।"
আমরা চলচ্চিত্রকে সবার জন্য ফ্রি করতে চাই। ফলে ছবি হবে স্বাধীন। ছবি হবে সৃজনশীল এবং সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে ছবির বাজার। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই গত শতকের আশি'র দশকের শুরুতে আমরা মূল ধারা থেকে আলাদা ধরণের চলচ্চিত্র আন্দোলন শুরু করেছিলাম। পরে এটি 'স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আন্দোলন' নামে পরিচিত হয়। এজন্য আমরা বেছে নিয়েছিলাম ১৬ মিলিমিটার ক্যামেরা। এজন্য কাহিনীকে প্রাণবন্ত করতে আমরা স্টুডিও শুটিংয়ের বদলে লোকেশন শুটিং করেছি। ১৬ মিলিমিটারের ছবির ফিল্ম, যন্ত্রপাতি সহজে বহনযোগ্য। আর এই ধরণের ছবি যারা বানাবেন তারা বেশ সহজেই ছবি বানাতে পারেন। আর এই ক্ষেত্রে আরেকটা সুবিধা হলো, এখানে হল মালিক নির্ভরতা নেই।
আমাদের দেশের ফিল্ম ক্যামেরার (৩৫ মিলিমিটার) অসুবিধাগুলো কী কী? এক্ষেত্রে ডিজিটাল ক্যামেরার সুবিধা কী?
মোরশেদুল ইসলামঃ আমাদের দেশের প্রচলিত ফিল্ম ক্যামেরার সমস্যা অনেক। যে ছবি তুলব সেটার প্রপার লাইট কন্ডিশন কেমন, ল্যাবে ঠিকমতো প্রসেস হচ্ছে কী না- এসব সমস্যা খুব ভোগান্তির মধ্যে ফেলে। অন্যদিকে ডিজিটাল ক্যামেরায় ঠিকমতো লাইট সেট হলো কী না সেটা মনিটরে দেখে নেবার সুবিধা আছে। সহজে ক্যামেরা তুলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বহন করা যায়। একটা শট তিনবারের বেশি এনজি হলে (নষ্ট হলে) ফিল্মে যারা কাজ করেন তারা শংকিত হয়ে পড়েন। এই অসুবিধাটা ডিজিটাল ফরমেটে নেই।
কারিগরি মানের দিক থেকে বিবেচনা করলে আমাদের দেশের যে ফিল্ম ক্যামেরা (৩৫ মিলিমিটার) তার প্রপার লেন্স নেই। আর এই ফিল্ম আনতে এফডিসির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। আমাদের হাতে এফডিসি বাদে অন্য কোনো চয়েসও নেই। আর এই লেন্সগুলো কখনো কখনো থাকে অত্যন্ত পুরনো। এফডিসির ল্যাবের কোয়ালিটিও জঘণ্য। ফলে যে ছবিগুলো এখানে করা হয় সেগুলোর বেশিরভাগই আসলে খুব ভালো হয় না। তবে একজন নির্মাতা হিসেবে আমি স্বীকার করছি, ৩৫ মিলিমিটারে যদি প্রপার কন্ডিশনে ছবি বানানো যায়, তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে ভালো মানের ছবি। কিন্তু এটা এদেশে করা খুব কঠিন।
ছবিঘরের অবস্থা তো অত্যন্ত খারাপ।
মোরশেদুল ইসলামঃ এফডিসিতে বানানো ছবিগুলো যেসব হলে দেখানো হয়, সেগুলোর অবস্থা জঘন্য। মফস্বলের বেশিরভাগ হলেই প্রজেকশন কোয়ালিটি অত্যন্ত নিম্নমানের। শব্দ শোনা যায় না, লাইট সিস্টেম ভালো না। আর পরিবেশও এতো খারাপ যে, দর্শক দিনে দিনে হলে গিয়ে ছবি দেখা বন্ধ করে দিচ্ছেন। তারা ঝুঁকে পড়ছেন বাসায় বসে সিনেমা দেখার প্রতি। এক্ষেত্রে বলাবাহুল্য, ডিভিডিতে ডিজিটাল ছবি খুব সহজেই ট্রান্সফার করে এই শ্রেণীর দর্শকদের হলে এনে ছবি দেখিয়ে অনেক টাকা উপার্জনের সুযোগও আছে।
যদিও আমরা জানি, বাণিজ্যিক ছবির ধারা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সর্বগ্রাসী। তারপরও আমরা চাই বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি একটি শক্তিশালী ধারা থাকুক যেখানে প্রযোজকের টাকা ফেরৎ দেবার প্রবল চাপ থাকবে না। থাকবে না নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করার অন্যায় এবং অমানবিক চেষ্টা। ফলে আমাদের কাছে এই নতুন মাধ্যমের গুরুত্ব অনেক।
সরকার এই আন্দোলনকে কিভাবে দেখছেন?
মোরশেদুল ইসলামঃ সবাই জানেন, আমরা ডিজিটাল ছবির জন্য চেষ্টা করছি। সরকারকে বলছি যাতে এই ছবিগুলো হলে দেখানো যায়। সেন্সরের অনুমতি দিয়ে ছবিগুলো সারাদেশে হলে হলে দেখানো উচিত। সরকার নীতিগতভাবে আমাদের দাবী মেনে নিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে। যদিও আমরা সেন্সর প্রথার বিরুদ্ধে। কারণ এটা শিল্পীর স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে। একজন লেখকের যদি বই লেখার জন্য কারো অনুমতি না নিতে হয়, তাহলে কেন একজন নির্মাতাকে তার ছবির জন্য অনুমতি নিতে হবে। আর এটাও বলছি না যে আমরা অতিবিপ্ল্লবী। আমরা জানি যে, এদেশের যে সামাজিক অবস্থা সেখানে চাইলেই যে কারো যে কোনো ধরণের ছবি এখানে দেখানো যাবে না। ফলে এই বিষয়ে আমাদের কথা বলার সময় আসতে আরো সময় লাগবে।
এফডিসির ছবি নিমার্তারা এই আন্দোলকে কিভাবে দেখছেন?
মোরশেদুল ইসলামঃ সমস্যা হচ্ছে আমাদের মধ্যে নতুনকে বরণ করার প্রবণতা অত্যন্ত কম। আমরা ভয় পাই। আমি দেখছি, আমাদের অনেকেই এই নতুন ফরম্যাট নিয়ে অনেক ভীতির মধ্যে আছেন। তাদের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। আসলে এরা চলচ্চিত্রে অশিক্ষিত। ফলে ভয় পাচ্ছেন। এরা প্রযুক্তির ব্যবহার জানেন না। জানেন না কীভাবে পরিবেশটাকে বদলে দিতে পারে ডিজিটাল ছবি। এদের বোঝাতে সময় লাগবে।
নতুন ফরম্যাট আমাদের প্রচলিত ছবির জগতকে কিভাবে বদলে দেবে বলে আপনার ধারণা?
মোরশেদুল ইসলামঃ ৩৫ মিলিমিটারের চেয়ে তিনভাগের একভাগ টাকায় এই ফরম্যাটে ছবি বানানো সম্ভব। ফলে অনেকেই ছবি বানাতে পারবেন। এই টাকা তুলে আনা সম্ভব। আমি আমার কথা বলতে পারি, আমি এখন বছরে ১টা ছবি বানাই। তবে ডিজিটালে ছবি বানাতে পারলে আমি বছরে ২টা ছবি বানাতে পারবো। যে সব তরুণ ছেলেমেয়েরা ছবি না বানাতে পেরে টিভি নাটক বানাচ্ছে, তারা ছবি বানাতে পারবে। তারা তাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারবে। ফলে সৃজনশীল ছবির ধারায় একটা অত্যন্ত বড় পরিবর্তন আসবে।
সরকারের কোনো করণীয় আছে?
মোরশেদুল ইসলামঃ সমস্যা হলো, সরকার ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরার কাজকেই ছবি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের এখন এই নিয়মকে আপডেট করতে হবে। এই কথার যুক্তি হলো, যখন এই নিয়ম বানানো হয়েছিল, তখন ৩৫ মিলিমিটার ছাড়া আর কোনো ফরম্যাট ছিল না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। ফলে আইনকেও সময়ের দাবী মেনে নিতে হবে। হতে হবে যুগপোযোগী।
ডিজিটাল ছবি তো হলে তেমনভাবে দেখানো যাবে না...
মোরশেদুল ইসলামঃ হ্যা, আমাদের কোনো হলেই ডিজিটাল ছবি প্রোজেকশন সিস্টেম নেই। একমাত্র স্টার সিনেপ্লেক্সে এই ছবিগুলো দেখানো যায়। সেক্ষেত্রে সারা দেশের হলগুলোকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। এজন্য খরচ হবে মাত্র ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। এটা হলমালিকরা করবেন। তারা যখন দেখবেন, অনেক ডিজিটাল ছবি হচ্ছে, তার টাকা ফেরৎ আসছে, তখন তারা নিজের তাগিদেই সেটা করবেন।
অনেকে বলছেন ডিজিটাল ছবি এবং টিভি নাটকের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই?
মোরশেদুল ইসলামঃ ভিডিওতে আমরা যেসব নাটক দেখেছি সেগুলো ডিজিটাল ক্যামেরায় করা। দেখেছি টেলিফিল্মও। ফলে প্রশ্নটা উঠেছে- টিভি নাটকের সঙ্গে আসলে এর পার্থক্য কোথায়? আর আমরা মনে করি, ৩৫-এ শুট করলে সেটা ছবি আর ডিজিটালে শুট করলে সেটা নাটক- এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আসলেই খুব জরুরী।
চলচ্চিত্রের নিজস্ব ভাষা আছে। নন্দনতত্ব আছে। টেলিভিশনকে টার্গেট করে যেটা বানানো হয় সেটা টিভি প্লে। ছোট পর্দার ব্যাকরণ মেনে, দর্শককে ধরে রাখার কথা মনে রেখে যেটা বানানো হয় সেটাই টিভি প্লে। কারণ দর্শক টিভি দেখেন হালকা মেজাজে। তারা টিভি দেখতে দেখতে গল্প করেন। কখনো টিভি দেখতে দেখতে ভালো না লাগলে উঠে যান। এসব সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে হালকা চালে যেসব অনুষ্ঠান তৈরি হয় সেগুলো টিভি নাটক। এটা যেকোনো ক্যামেরায় করা হোক না কেন।
অন্যদিকে সিনেমা সিরিয়াস মাধ্যম। এখানে দর্শক হলে ঢোকার আগে টিকেট কাটেন। তার মধ্যে এক ধরণের দ্বায়িত্ববোধ জন্ম নেয় যে, আমি ছবি দেখতে হলে ঢুকছি। সময় নিয়ে, অন্ধকার ঘরে বসে তিনি সবার সঙ্গে বসে ছবি দেখেন। যার চরিত্র এবং ঘটনাগুলোর সঙ্গে তিনি একাত্মবোধ করেন। ছবিতে সময় নিয়ে ধরে ধরে চরিত্রগুলোকে বিস্তৃত করা যায়। ঘটনার বিস্তার করা যায়। এটা দেখার মধ্যে এক ধরণের অভ্যস্ততার ব্যাপার আছে। ছবিটা কোন ফরম্যাটে তৈরি করা হয়েছে সেটা বিচার্য বিষয় নয়।
যেহেতু ছবি বানানো সহজ হয়ে যাবে, ফলে সবাই কি ছবি বানাবেন?
মোরশেদুল ইসলামঃ আমি মনে করি, ডিজিটাল ছবির মাধ্যমে আমাদের ছবি বানানোর পথ খুলে যাবে। যে কেউ এর ফলে ছবি বানাতে পারবেন। তবে ভালো ছবি বানানোটা মোটেও সহজ হয়ে যাবে না। সত্যিকারের ছবি বানাতে প্রস্তুতি দরকার। যার দক্ষতা নেই, প্রস্তুতি নেই, ছবির জন্য ভালোবাসা নেই সে কোনোভাবেই ভালো ছবি বানাতে পারবে না। তার ছবি দর্শকও পছন্দ করবেন না।
ছবির বাজার তো বিস্তৃত হচ্ছে দিনে দিনে। আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা ডিজিটাল ছবি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবো?
মোরশেদুল ইসলামঃ এখন আমরা বছরে ৩৫ মিলিমিটারে ৩ থেকে ৪টা ছবি বানাতে পারি যেগুলো ভালোমানের হয়। আর ডিজিটাল ফরম্যাটে ছবি বানানোর সুযোগ পেলে বছরে হয়তো ২০ থেকে ২৫ টা ছবি বানাতে পারবো। এসব ছবি আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করাতে পারবে। এখন আমাদের 'মাটির ময়না'র মতো মাত্র ১ কী দুটো ভালো ছবি আন্তর্জাতিক বাজারে যায়। বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভালেও তখন আমাদের অনেক বেশি অংশগ্রহণ ঘটবে। এর ফলে আমাদের ছবির বাজারও বিস্তৃত হবে। যেটা দেশের মুখ আরো উজ্জ্বল করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমরা যারা মনের তাগিদে ছবি বানাই, তারা দেশের মানুষকে আমাদের ছবিগুলো দেখাতে পারি না। একটা কী দুইটা হলে ছবি দেখিয়েই আমাদের তৃপ্ত থাকতে হয়। অথচ ভালো ছবির দর্শক আমাদের দেশে কিন্তু মোটেও কম নেই। প্রতিটি জেলায় অন্ততঃ কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আছে, উৎসাহী দর্শক আছেন যারা এসব ছবি দেখতে মুখিয়ে থাকেন। এসব মানুষের ছবি দেখার যে ক্ষিদে সেটা মেটানোর অন্য কোনো রাস্তা আছে বলে আমার জানা নেই।
বর্তমান প্রেক্ষিতে ডিজিটাল ছবি দেখানোর উপায় কী?
মোরশেদুল ইসলামঃ জেলায় জেলায় প্রচুর পরিমাণ ব্যবহার না হওয়া অডিটোরিয়াম আছে। যেগুলোতে চাইলেই খুব সহজেই এসব ছবি প্রদর্শন করা যাবে।
সুত্র - গ্লিটস/১২ নভেম্বর ২০০৮
No comments:
Post a Comment