এলাকা নয়, আমি সারা দেশকে নিয়ে ভাবি: আসাদুজ্জামান নূর
প্রখ্যাত অভিনেতা, পরিচালক ও আবৃত্তিকার আসাদুজ্জামান নূর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচন করছেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনে। নূর এর আগের অর্থাৎ '০১ সালের নির্বাচনে এই আসনের এমপি হিসেবে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। এবার থাকছে এই তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতার একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার। যেখানে সামপ্রতিক বিষয়সহ, সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা সমস্যা সমাধানে তিনি নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন, নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। জানিয়েছেন আরো নানা প্রসঙ্গে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি। গ্লিটজের পক্ষে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের নীলফামারী প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান বাড্ডা।
গ্লিটজ : আপনার নির্বাচনী প্রচারনা কেমন চলছে?
নুর : সময়স্বল্পতার কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচন্ড চাপ চলছে। সদর আসনে ১৫টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা। এতো বড় এলাকা ১৫ দিনে কভার করা শারীরিকভাবে এবং সময়ের দিক থেকে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমাদের দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এবং বিশেষ করে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করছেন। ফলে আমার মনে হচ্ছে, প্রচার আশানুরূপ হচ্ছে।
গ্লিটজ : নিজের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মূল্যায়ন করুন।
নূর : প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বলতে এখানে মূলতঃ চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী (জামায়াতের কর্মী, চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মন্টু, তার প্রতীক ধানের শীষ) । তিনি তার মত প্রচারণা করছেন। আমরাও আমাদের মতো প্রচারণা করছি। বক্তব্য তুলে ধরছি। বাকীটা ভোটারদের উপর।
গ্লিটজ : কোন কোন বিষয়কে সামনে রেখে ভোট প্রার্থনা করছেন?
নূর : আমাদের এলাকার উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট প্রার্থনা করছি। তবে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি শুধু নিজ এলাকাকে নিয়ে ভাবতে পারি না। আমি সারা দেশকে নিয়ে ভাবি। সারা দেশের যদি উন্নয়ন না হয় তাহলে বিচ্ছিন্নভাবে নীলফামারীর পরিবর্তন আসবে না। আমাদের এলাকার সমস্যা- যেমন ইপিজেড, দারোয়ানী টেক্সটাইলস মিলস, চিলাহাটী স্থলবন্দর, নার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, পলিটেকনিক কলেজ, মহাসড়কের উন্নয়ন, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা, চাল-ডাল-তেলের দাম বিশেষ করে সারের সমস্যার বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আগামীতে মহাজোট ক্ষমতায় এলে এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।
গ্লিটজ : একজন তারকা হিসেবে ভোটাররা আপনাকে কীভাবে দেখছেন?
নুর : আমার এলাকার ভোটাররা ঠিক তারকা হিসেবে আমাকে দেখেন না। তবে নবীন প্রজন্মের কাছে কিছুটা গুরুত্ব থাকলেও থাকতে পারে। তবে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে তারকা হিসেবে আমার কোনো আবেদন নেই। তারা আমাকে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেই দেখেন। অভিনেতার ইমেজটা খুব বেশী বড় হয়ে এখানে দেখা দেবে না।
গ্লিটজ : নির্বাচিত হলে কী কী উন্নয়ন করবেন?
নুর : উন্নয়নের কথা আমি আগেই বলেছি। তবে স্থানীয়ভাবে কিছু উন্নয়নের ব্যাপার রয়েছে। এর মধ্যে ইপিজেড'র সমপ্রসারণ, চিলাহাটী স্থলবন্দর চালু, কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা- এই সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে আমরা দৃষ্টি দেব। এছাড়াও প্রণয়ন করতে হবে জাতীয় নীতি। এমন জাতীয় নীতি প্রনয়ণ করতে হবে যাতে স্বাভাবিক নিয়মেই দেশের সব অঞ্চলেই উন্নয়ন হয়।
গ্লিটজ : দেশে এখন তেমন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় না। নির্বাচিত হলে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন?
নূর : দেশের সর্বত্র সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। তারা তাদের মতো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এই কাজটি করছে। এই দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা সবসময়েই সচেতন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ, ইতিহাস, ঐতিহ্য বিশ্বাস করে সেই সরকারের উচিত হবে আগামীতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে আরও অনেক বেশী সক্রিয় করা।
গ্লিটজ : বিশেষ করে মফস্বলে মঞ্চ নাটকে আগের মতো শো করার অবস্থা নেই। এক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কী হবে?
নূর : মঞ্চ নাটকের ব্যাপারে বলতে গেলে আমি অনেকটা হতাশ। ছাত্র সংগঠন-যুব সংগঠনে যারা আছেন তারা অনেক বেশী পরিশ্রম করেন। তবে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আমরা ওইভাবে সংগঠন গড়ে তুলতে পারিনি।
গ্লিটজ : চলচ্চিত্র শিল্পের দৈন্যদশা কাটাতে আপনার ভূমিকা কি হবে ?
নূর : ব্যক্তিগতভাবে মতামত দিতে গেলে বলতে চাই, চলচ্চিত্রে পরিবর্তনের ধারা সুচিত হয়েছে। তবে ধারাটি অত্যন্ত দূর্বল। এতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। সেটি পেলে পরে আমার ধারণা বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের একটা পরিবর্তন আসবে। এটি হোক তা আমি আন্তরিকভাবে চাই।
গ্লিটজ : অসুস্থ ছবি বন্ধে আপনার ভূমিকা কী হবে?
নূর : যে কোন মুল্যে অসুস্থ ছবি বন্ধ করতে হবে। এটি একটি অপসংস্কৃতি।
গ্লিটজ : কেন সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছেন?
নূর : আমি নির্দ্বিধায় বলতে চাই, আমি এই এলাকার মানুষ ও মাটির কাছে ঋনী। আমি রাজনীতির মধ্য দিয়ে, সেবার মধ্য দিয়ে সেই ঋনের কিছুটা হলেও শোধ করতে চাই। এছাড়াও একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আমি যেটা মনে করি রাজনীতি না করে আসলে দেশের মৌলিক পরিবর্তনগুলো আনা সম্ভব নয়। দেশের মৌলিক পরিবর্তনগুলোই মূল প্রয়োজন। এতে জনগনের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এই পরিবর্তন আনার লক্ষেই আমার রাজনীতিতে আসা।
গ্লিটজ : একজন সাংস্কৃতিক কর্মীর রাজনীতি করাটা কতটা জরুরী? কেন?
নূর : এটা ঠিক ব্যাখ্যা দেয়া যাবে না যে, একজন সাংস্কৃতিক কর্মী রাজনীতি করবে কী না। একজন সাংবাদিক রাজনীতি করতে পারবে কী না। একজন আইনজীবী রাজনীতি করতে পারবে কী না। তবে আমি মনে করি, যে কোন পেশার মানুষই রাজনীতি করতে পারেন। যে কোন সচেতন মানুষেরই রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহী হওয়া উচিত।
গ্লিটজ : সিনেমা হলগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা কাটাতে আপনি সরকার এবং দলকে কীভাবে প্রভাবিত করবেন? এক্ষেত্রে আপনি নিজে কী ভূমিকা রাখবেন?
নূর : সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- এটি একটি হতাশাজনক অবস্থা। এক্ষেত্রে সিনেমা হলগুলোর আধুনিকায়ন দরকার। আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগটাই সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। আমার মনে হয় না যে, সিনেমা হল আধুনিকায়ন করার ক্ষেত্রে সরকারের কোন কিছু করার আছে। তবে ভালো ছবি যদি হয় তাহলে দর্শক সিনেমা হলে যায়। সুতরাং ভালো ছবি ও সুস্থ ধারার ছবি নির্মাণ করতে হবে। আজকাল তো যে কোন ছবি ভিডিও'তে দেখা যায়। দর্শক তো আর ওইসব ছবি দেখতে হলে যেতে চায় না। যদি ভালো ছবি হয়, এতে বড় পর্দায় ছবি দেখার যে আনন্দ আছে, সেটি দেখার জন্য অনেকেই হলে যায়।
গ্লিটজ : দেশে দিনে মৌলবাদ বেড়ে যাচ্ছে, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা হুমকির মুখে। কেন এই অবস্থা হচ্ছে? এই অবস্থা কাটাতে কী করা প্রয়োজন? এক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কী থাকবে?
নূর : মৌলবাদ, অসামপ্রদায়িক শক্তির কর্মকান্ড দেশে বেড়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণটাই হলো- অভাব, দারিদ্র এবং শিক্ষাহীনতা। এসবের কারণে মৌলবাদ বেড়ে যাচ্ছে। যদি অভাব দূর হয়, মানুষ শিক্ষিত হয়, তাহলে মানুষ সচেতন হয়ে উঠবে। ফলে আর ধর্মান্ধ গোষ্ঠী মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
গ্লিটজ : এমপি নির্বাচিত হলে আপনি সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে এদেশের সাংস্কৃতিক জগতের জন্য কী করবেন ?
নূর : যদি আমি এমপি নির্বাচিত হই তাহলে সুস্থ সংস্কৃতির ধারা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেব।
গ্লিটজ : দেশে এবারে নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ? দল ক্ষমতায় গেলে সাংস্কৃতিক জগতের জন্য কী করবেন ?
নূর : আমাদের দেশে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমরা দুঃশাসনের মধ্যে ছিলাম। রাজনৈতিকভাবে আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি প্রতিনিয়ত। দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো বার বার ধর্মান্ধ শক্তির হামলার শিকার হয়েছে। গ্রেনেড হামলা হয়েছে, বোমা হামলা হয়েছে এবং সাধারণভাবে মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। চালের দাম বেড়েছে। মানুষ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারছেন না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ওয়ান ইলেভেনের পর একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘঠেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
গ্লিটজ : আগের আওয়ামী লীগের তুলনায় এবারের আওয়ামী লীগের পার্থক্য কোথায়? কেন মানুষ অন্য দলকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন?
নূর : এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। '৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য নানান ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দিনে দিনে শক্তিশালী হয়েছে। এখন মানুষ উপলব্ধি করছে- আওয়ামী লীগের ওই পাঁচটি বছরই ছিল স্বাধীনতার পরে শ্রেষ্ঠ ও ইতিবাচক সময়। আমরা এ কথা বলি না যে, আমরা সব সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি এবং সেটি একটি স্বর্ণযুগ। তবে যা কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে ওই সময়টার মধ্যেই সেগুলো হয়েছে। আমাদের কিছু কিছু ব্যর্থতা থাকলেও থাকতে পারে এবং সেখান থেকে আওয়ামী লীগের নতুন নতুন পথে উত্তরণ ঘটেছে। এসেছে নবীন ও নতুন নেতৃত্ব। এবার আওয়ামী লীগ মহাজোট করেছে। একটা ঐক্য গড়েছে। সেই ঐক্যে মুক্তিযুদ্ধের পরে সমস্ত শক্তিগুলো যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চায়, সেই শক্তিগুলো আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো ভূমিকা পালন করেছে। সবকিছু মিলে আগের তুলনায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা কিন্তু ভিন্ন।
গ্লিটজ : একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে আপনার ভূমিকা কী হবে?
নূর : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন বলতে আমার মনে হয়, এমন একটি দেশ যেটি হবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের। সেই বাংলাদেশ হবে শোষনমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পন্ন। যেখানে অর্থনৈতিক ভারসাম্য থাকবে। এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষ সম্মানের জীবন পাবে। সব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। আর যারা লেখাপড়া শিখেছে তারা চাকুরীর সুযোগ পাবে। সেই দেশে অসুস্থ হলে মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পাবে। জীবন-যাপনের মৌলিক অধিকারগুলো পাবে মানুষ- এইগুলোই আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো যদি তৈরী হয়, মানুষ আসলেই পায়; তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।
গ্লিটজ : সামনের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দেশের কোনো মৌলিক পরিবর্তন আসবে? তবে সেটি কী ধরনের?
নূর : আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে অবশ্যই দেশের মৌলিক পরিবর্তন আসবে। ওয়ান ইলেভেনের পর আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি- দেশের রাজনীতিতে বিগত পাঁচ বছরে যারা ছিলেন, তারা বিভিন্ন সময়ে দেশটাকে যেভাবে লুটপাট করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, দেশের টাকা যেভাবে পাচার হয়েছে, যেভাবে দলীয়করণ হয়েছে, সন্ত্রাস বেড়েছে, যেভাবে জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে- এগুলো আমাদের দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছেন। এই প্রথমবারের মত কারা এই কাজগুলো করছে এবং কেন করছে আমরা জেনেছি। আর তারা যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করেন না তাও পরিষ্কার হয়েছে। সুতরাং এই শক্তিকে পরাজিত করলেই দেশে একটা মৌলিক পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
গ্লিটজ : মহাজোট ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
নূর : এই ব্যাপারে আমি এখনো কোনো চিন্তা-ভাবনা করছি না। আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের মহাজোটের ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয় আছে। আমি কোনো কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে রাজনীতি করি না। আমি আমার আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দলের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে রাজনীতি করি।
গ্লিটজ : জেতার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
নুর : কোন প্রার্থীই মনে করেন না যে, তিনি নির্বাচনে পরাজিত হবেন। সবাই-ই জয়ের জন্য নির্বাচন করেন। সবাই জয়ের প্রত্যাশাই করেন। আমাদের এলাকার যারা ভোটার, যারা সাধারণ মানুষ, আমি মনে করি, তারা অত্যন্ত সচেতন। তারা সচেতনভাবেই এমপি নির্বাচিত করবেন। আশা করি এক্ষেত্রে আমি জয়লাভ করব।
সুত্র - গ্লিটস/২২ ডিসেম্বর ২০০৮